মহেশখালী সংবাদদাতা ::
মহেশখালীতে প্রবল বর্ষণে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢলে শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। ঢলের পানিতে তলিয়ে দোকানপাট। দেয়াল চাপা পড়ে মোরশেদা বেগম (১৭) নামে কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার ভোর রাতে উপজেলার ছোট মহেশখালি ইউনিয়নের উত্তর সিপাহির পাড়ায় ওই ঘটনা ঘটে। সে ওই গ্রামের আনছারুল করিমের মেয়ে। দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মহেশখালি থানার ওসি আবদুল হাই।
এদিকে, টানা বর্ষণে দ্বীপ উপজেলার রাস্তাঘাট ভেঙ্গে গিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে গ্রামীণ অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ। সোমবার দিবাগত রাত থেকে ২৭ জুলাই সকাল পর্যন্ত টানা বর্ষণে উপজেলার হোয়ানক, কালারমারছড়া শাপলাপুর ইউনিয়নে পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় এই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করছেন মহেশখালী-কুতুবদিয়ার সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান ও হোয়ানক ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল।
উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হোয়ানক ইউনিয়নের কালাগাজির পাড়া ও হরিয়ার ছড়া গ্রামে। দুটি গ্রামেই শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।
কালাগাজীর পাড়া বাজার বণিক সমিতির উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম ও সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম জানান, সোমবার দিবাগত রাতে প্রবল বর্ষণে সৃষ্ট ব্যাপক পাহাড়ি ঢলে ছড়ার বাঁধ ভেঙ্গে কালাগাজির পাড়া ও হরিয়ার ছড়া গ্রামের শতাধিক বাড়িঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে।
রাস্তাঘাট ভেঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। হরিয়ারছড়া এলাকায় উলাখালি, হরিনাদিয়া ও বড়ঘোনা নামক ৩টি চিংড়ি প্রজেক্টের স্লুুইস গেইট বন্ধ রেখে বন্যার পানি আটকে রাখায় দুই গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যাকবলিত হয়ে আরো শতাধিক বাড়িঘর পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান বলেন, সোমবার দিবাগত রাত থেকে মুষলধারে অস্বাভাবিক ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে হোয়ানক ও কালারমার ছড়া ইউনিয়নে বেশকিছু বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট ভেঙে গেছে।
মাননীয় সাংসদসহ আমরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করতে স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বারদেরকে নির্দেশ দিয়েছি। তাদেরকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে।
পাঠকের মতামত: